আবদুল্লাহ হাশেম
পশ্চিমা মিডিয়ার উপর নির্ভরশীলতা বাদ দিতে মুসলিম বিশ্বকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া, টিভি চ্যানেল ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের অধিকারী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন শাইখুল আজহার আহমদ আল তাইয়েব। এক্ষেত্রে ইসলামী রূপরেখা গঠনেরও আহবান জানান তিনি।
আল আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম এই প্রসঙ্গে বলেন, মুসলিমদের উপর উম্মাহর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করা উচিত নয়।
শায়খুল আজহার আরো বলেন, আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উপর এখন আবশ্যক হলো জালিম আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে সম্পর্ক গোড়া থেকে পুনর্বিবেচনা করা এবং পশ্চিমা নির্ভরশীলতা কমানো। ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা ভালো করে জেনে রাখুক যে, পশ্চিমারা যখন তোমাদের মুখোমুখি হয় অথবা তোমরা তাদের সামনে দাঁড়াও, তখন পশ্চিমাদের সমস্ত মারণাস্ত্র দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে যায়। তারা অন্যের ভূমিতে লড়াই করতে এসেছে এবং জরাগ্রস্ত, সেকেলে একটি (ইহুদীবাদ) মতাদর্শ ও বিশ্বাসকে রক্ষা করতে কাজ করছে। এটি এখন কুমিরের কান্নার মতো হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের আবশ্যক হলো, মহান আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও দিকনির্দেশনাকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে দখলদারদের মোকাবিলা করা এবং তাদের বর্বরতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা। পশ্চিমারা আফগানিস্তান ও সোমালিয়ায় যা করেছে, তোমাদের সাথেও অতিসত্বর তা করবে।
আর মুসলিম উম্মাহর উপর আবশ্যক হলো, মহান আল্লাহ তাদেরকে যতোরকম শক্তি, সামর্থ্য, সম্পদ ও সাজসরঞ্জাম দান করেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে অবর্ণনীয় সন্ত্রাস ও জুলুমের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো এবং মানবতার জন্য, নীতি নৈতিকতা ও নবী রাসূলদের শিক্ষা ও আদর্শের পক্ষে কাজে লাগানো। মুসলিমদেরকে আল্লাহর এই কথা মাথায় রাখতে হবে; অর্থ- ‘তোমরা দু:খিত হয়ো না, ভীত হয়ো না। যদি মুমিন হয়ে থাকো তাহলে তোমরাই বিজয়ী হবে’।
আর যদি মুসলিমরা তাদের শত্রুদের চরিত্র, প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চায়, তাহলে বনী ইসরা/য়েলকে লক্ষ্য করে আল্লাহর এই কথার উপর ভালো করে তারা চিন্তা করুক; অর্থ- ‘এরপরেও তোমাদের হৃদয় এতো শক্তি কঠিন হয়ে গেলো, যা পাষাণ কিংবা তারচেয়েও কঠিন’।
সূত্র : আল আজহার ওয়েবসাইট