মুহা. ইয়াছিন আরাফাত
গাজা উপত্যকায় ইহুদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করায় দখলদার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা গবেষণা সেন্টার শায়খুল আযহারের পদত্যাগ দাবি করার স্পর্ধা দেখালো এবার। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠনগুলোকে সমর্থন করায় তারা শায়খুল আযহারকে সন্ত্রাসের সহযোগী পর্যন্ত বলতেও দ্বিধা করে নি। ইসরায়েলি ওই গবেষণা সেন্টার বিজ্ঞপ্তিতে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সন্ত্রাসী কাণ্ডের নিন্দা করায় ‘মধ্যপন্থী ইসলাম থেকে মৌলবাদি ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ‘সন্ত্রাসী (?) হামাসের পক্ষে আল-আযহার’ শীর্ষক প্রতিবেদেনে তারা দাবি করেছে, আল আযহার ইসরায়েলিদের হত্যা এবং ইজরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের সাধারণ নাগরিকদের পরিকল্পিতভাবে উস্কে দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, শাইখুল আযহার হলেন ইসরায়েল প্রতি আযহারের কঠোর অবস্থানের জন্য একমাত্র দায়ি ব্যক্তি। এবং তিনি রীতিমত হামাস নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে আসছেন।
প্রতিষ্ঠানটি মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বরেণ্য শায়খুল আযহার ড. আহমদ তাইয়েবকে পদ থেকে অপসারণের লক্ষ্যে মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একইসাথে আরব দেশগুলোকে আযহার মসজিদ ও ইউনিভার্সিটি নিয়ন্ত্রণ ও এটির অর্থায়ন বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, মিশরের আল আযহার শরীফের প্রধান শায়খুল আযহারকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত মিশরের মুসলিম জনসাধারণে শায়খুল আযহারের প্রভাব অপরিসীম। এমতাবস্থায় মুসলিম ইস্যুগুলোতে অভিভাবকের ভূমিকায় থাকা এ পদের অবমাননা করা ইসরায়েলের জন্য আরো বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে মিসর ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্কেও।
সূত্র: আলজাজিরা মুবাশের