আবদুল্লাহ হাশেম
‘আমাদের সমাজ, আমাদের আমানত’ শ্লোগান সামনে রেখে মিসরের আসয়ুত জেলায় ‘সামাজিক উন্নয়নে মাদকাসক্তির কুফল’ শীর্ষক এক জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছে আল আযহার ইউনিভার্সিটির ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার। ১৪ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার আল আযহার কর্তৃক ‘আমাদের সমাজ আমাদের আমানত’ শীর্ষক সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসয়ুত জেলার গভর্নর মেজর জেনারেল ইসাম সা’দ, আল আযহারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর আবদুল মালিক খতীব, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের দাওয়াহ ও ধর্মীয় সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী সচিব ডক্টর মাহমুদ হাওয়ারি, সামরিক প্রশাসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তানতাবি, আসয়ুত ওয়ায়েজ শাখার পরিচালক ডক্টর সালাহ সাইয়্যেদ, মিসর ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ডক্টর আসেম কুবাইসি প্রমুখ। এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মিসরিয় চার্চ ও মাদকাসক্তি নিরাময় ফান্ডের প্রতিনিধিবর্গ।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার অব আল আযহারের মহাসচিব ডক্টর নাজির আইয়্যাদ বলেন, এই সভা আল আযহারের সামাজিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সভার আলোচ্য বিষয়ের সাথে মানবিক উন্নতি ও বিকাশের বিষয়টি সম্পৃক্ত। মানুষের জ্ঞান, বিচার বুদ্ধি, বিবেকবোধ আল্লাহর অপার দান। যে মানুষের মধ্যে এ সব বৈশিষ্ট্য ক্রিয়াশীল, সে যাবতীয় মাদক ও নেশাদ্রব্য থেকে দূরে থাকবে। মাদক মানুষের প্রাণশক্তিকে নি:শেষ করে দেয়, তার জীবনের সফলতা অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করে, তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, মাদকের প্রবাহ, চোরাচালান এবং এর সহজলভ্যতা সমাজ ধ্বংসের অন্যতম হুমকি। এটি যুবসমাজকে বিপথগামী করছে। তাদের সামনে খুব সহজে মাদকাসক্ত হওয়ার রাস্তা খুলে দিচ্ছে। মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মতোই ক্ষতিকর। এর নেতিবাচক প্রভাব শুধু মাদক গ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং তার পরিবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করে।
আয়োজিত সভায় ডক্টর মাহমুদ হাওয়ারি বলেন, মাদক নির্মূলে আমাদের সবাইকে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। যুবসমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের মন ও মস্তিষ্কের হেফাজত, সমাজে ছড়িয়ে পড়া নানারকম মনোদৈহিক হুমকি মোকাবেলায় আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। এর জন্য পারিবারিক সুরক্ষার পাশাপাশি মসজিদ, গির্জা, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিডিয়ার ভূমিকা অতীব জরুরি।
—এস.এইচ